এফএনএস স্পোর্টস: বিশ্বকাপ ফাইনালের পর পেরিয়ে গেছে চার দিন। নিজের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও কিছু বলেননি কুইন্টন ডি কক। তাই আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাদা বলের কোচ রব ওয়াল্টার। তার বিশ্বাস, জাতীয় দলের হয়ে এই সংস্করণে খেলা চালিয়ে যাবেন ডি কক। ২০২১ সালে আচমকাই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন ডি কক। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ দিয়ে ৫০ ওভারের ক্যারিয়ারেরও ইতি টানেন তিনি। একটা সময় তিন সংস্করণেই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম পছন্দের উইকেট-কিপার ছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১৫ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে হারা দলের অংশ ছিলেন তিনি। বারবার সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া প্রোটিয়ারা এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে প্রথমবারের মতো পা রাখে ফাইনালে। যেখানে খুব ভালো অবস্থানে থেকেও শেষের ব্যাটিং ব্যর্থতায় তারা ৭ রানে হেরে যায় ভারতের কাছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপই দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ডি ককের শেষ বলে ধারণা করছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছে কোচ ওয়াল্টার বললেন, এই সংস্করণে জাতীয় দলকে আরও অনেক কিছু দেওয়ার আছে ৩১ বছর বয়সী ডি ককের। “কুইনির বিষয়টি রহস্যময়। সে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি। তাই আমাদের জন্য আশার সামান্য ঝলক আছে। কুইনির কাছে তার নিজেকে নিয়ে মান খুব উঁচু এবং সে অনেক দিন ধরে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখেছে। আমরা তাকে আবার দেখতে পাব কি-না, সময়ই বলে দেবে।” ওয়াল্টার এখনও ডি ককের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেননি। আপাতত তা করতেও হবে না। দক্ষিণ আফ্রিকার পরবর্তী টি-টোয়েন্টি অগাস্টে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। ডি কক ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই। তাই কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য দলে নির্বাচনের অবস্থায় থাকার বাধ্যবাধকতাও নেই তার। এবারের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ ও আসরের চতুর্থ সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন ডি কক। ৯ ম্যাচে ২ ফিফটিতে ১৪০.৪৬ স্ট্রাইক রেটে তার ব্যাট থেকে আসে ২৪৩ রান। এই সংস্করণে এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ৯২ ম্যাচে ১৩৮.৩২ স্ট্রাইক রেটে তার রান ২ হাজার ৫৮৪।
©খুলনার সময় ২০২৩ | এই ওয়েবসাইটের সকল লেখা, ছবি, ভিডিও সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত