বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন, অসদাচরণ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের সভার সুপারিশ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত এক সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন, মৃৎশিল্প বিভাগের জাহিদ শেখ ও মো. শাহরিন ইসলাম, ফলিত গণিত বিভাগের মো. আযহা ইসলাম, সংগীত বিভাগের মর্তুজা হাসান খান, ইতিহাস বিভাগের মো. আজিম মাহমুদ তওসিফ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মো. রিয়াদ মাল এবং ফরাসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মো. আব্দুল ওহেদ। এছাড়াও, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় ৬০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের কারণও উল্লেখ করে প্রশাসন। তাদের মধ্যে জাহিদ শেখ ও মো. শাহরিন ইসলাম শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে আটকে রেখে ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা অভিযুক্তদের নামে রাজধানীর লালবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আর এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তাদের দুইজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী আযহা ইসলাম, মর্তুজা হাসান খান, মো. আজিম মাহমুদ তওসিফ এবং মো. রিয়াদ মাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘুরতে আসা দুজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে ও ৫ হাজার ৫শ’ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ওই দুই ভুক্তভোগী শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ক্ষুন্ন, অসদাচরণ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে মো. আব্দুল ওহেদকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। সাময়িক বহিষ্কৃত এসব শিক্ষার্থীদের চিঠি তাদের সংস্লিষ্ট থানা, স্থানীয় অভিভাবক এবং স্থায়ী ঠিকানায় পাঠানো হবে। এছাড়াও, ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমান দোকান থেকে চাঁদা নেয়ার অভিযোগে প্রক্টর অফিসের মো. শামিম হোসেনকে স্থায়ীভাবে চাকুরী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
©খুলনার সময় ২০২৩ | এই ওয়েবসাইটের সকল লেখা, ছবি, ভিডিও সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত