অনিয়মের অভিযোগে সাতক্ষীরা মেডিকেলের পরিচালক ডা: শিতল চৌধুরীর বদলির আদেশ হলেও তিনি চেয়ার ছাড়ছেন না। তিনি আরও এক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। অবিলম্বে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবিতে মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ডাঃ শীতল চৌধুরীকে হাসপাতালে তার অফিসে অরুদ্ধ করে রাখে।
জানা যায়, অনিয়মের অভিযোগে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শীতল চৌধুরীকে ওএসডি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত সোমবার (১ জুলাই) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সহকারী সচিব এম কে হাসান জাহিদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে ঢাকার মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলী করা হয়েছে।
সেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শেখ কুদরত ই খোদাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের নিদের্শে ডা. শেখ কুদরত ই খোদা যোগদান করার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালকের কার্যালয়ে গেলে তাকে দায়িত্ব বুঝে না দিয়ে আরও এক সপ্তাহ সময় দাবি করেন ডা. শীতল চৌধুরী।
বিষয়টি জানতে পেরে মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা ডা. শীতল চৌধুরীর উপর চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা অবিলম্বে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবিতে ডাঃ শীতল চৌধুরীকে তার অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। একপর্যায় ডা. শেখ কুদরত ই খোদা’র হস্তক্ষেপে দুপুরের পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র পরিচালকের অফিসের সামনে থেকে সরে যায়।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে চলতি দায়িত্ব পাওয়া ডা. শেখ কুদরত ই খোদা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার (৩ জুলাই) আমি যোগদান করেছি। আজ বৃহস্পতিবার অফিসে গেলে ডা. শীতল চৌধুরী এক সপ্তাহ সময় দাবি করেন। মন্ত্রণালয় থেকে তার (ডা. শীতল চৌধুরী) বিরুদ্ধে একটি তদন্ত এসেছে। বর্তমানে তদন্তকাজ চলমান থাকায় এবং তা শেষ করতে তিনি এক সপ্তাহ সময় নিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে তিনি অফিস করবেন বলে জানান।
©খুলনার সময় ২০২৩ | এই ওয়েবসাইটের সকল লেখা, ছবি, ভিডিও সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত