ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি কর্তৃক ২০ জনের নামে বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা

৪৮৯

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এসএম মাহাবুবুর রহমানকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রেক্ষিতে এবং সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, ঝাটা মিছিল, কুশপুত্তলিকা দাহসহ সভাপতি ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্মানহানী করায় সংশ্লিষ্ট ২০ জনের নামে খুলনা বিভাগীয় সাইবার টাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস ছালামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের সভাপতি এসএম মাহাবুবুর রহমান অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গত ২৩ জুলাই ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় একটি তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটি প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস ছালামকে ২৮ জুলাই ২০২২ একটি নোটিশ প্রদান এবং ৩১ জুলাই ২০২২ তারিখে বিদ্যালয়ের ভবনে তদন্ত বিষয়ক শুনানী গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু শুনানীর দিন প্রধান শিক্ষক কোন প্রকার প্রশ্নের জবাব দেননি এবং তদন্ত কাজে কোন প্রকার সহায়তা করেননি। এছাড়া হিসাব সংক্রান্ত কোন কাগজ পত্রাদি দেখাতে অস্বিকার করেন। ফলে তদন্ত কমিটির সদস্য মো. আনোয়ারুল ইসলাম, রেহেনা আক্তার বানু ও মো. হুমায়ুন কবীর তদন্ত কার্য সম্পন্ন করতে না পারায় সভাপতি এসএম মাহাবুবুর রহমানকে অবহিত করেন। সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত তদন্তের স্বার্থে ১৩ আগস্ট ২০২২ তারিখের বিশেষ সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ১৬ আগস্ট ২০২২ তারিখ থেকে প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস ছালামকে দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস ছালামের ইন্ধনে তার বাসায় প্রাইভেট পড়া ছাত্র/ছাত্রীসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, ঝাটা মিছিল, কুশপুত্তলিকা দাহ, বিদ্যালয়ের সভাপতিকে অপসারণ ও প্রধান শিক্ষককে পুন:বহালের দাবীতে বিদ্যালয়ের ক্লাস বর্জনসহ নানান কর্মসূচি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে। এতে সভাপতি এসএম মাহাবুবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের সম্মানহানী করা হয় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এঘটনার পর স্থানীয় সুশীল সমাজ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সম্মতিতে ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস ছালামসহ ২০ জনের নামে বিদ্যালয়ের সভাপতি এসএম মাহাবুবুর রহমান বাদী হয়ে খুলনা বিভাগীয় সাইবার টাইব্যুনালে মামলা করেন। মামলার সিআর নং ৭৫/২২। উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম জামায়াত শিবিরের কর্মী হিসেবে সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫-ডি এবং ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উৎপাদানাবলী আইনের ৪/৬ ধারা মতে জিআর ৬৬৯/২২ নং মামলা দায়ের করিলে তৎপেক্ষিতে পুলিশ তাকে ৫ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে আটক করে এবং ৬ ডিসেম্বর ২০২২ জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এই বিভাগের আরও সংবাদ