অন্তর্বর্তীকলীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি। আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। জুলাই-আগস্টে ঐতিহাসিক ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করায় উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানান নেপালের রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশীয় দেশ দুটি সার্ক এবং বিমসটেকের সদস্য এবং অভিন্ন ইতিহাস এবং জনগণের মধ্যে অত্যন্ত গভীর মিথস্ক্রিয়ার ভিত্তিতে উভয় দেশেরই চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা এখনও মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত ভান্ডারি নেপালের বিশাল জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে দুই দেশ শিগগিরই জ্বালানি বাণিজ্য শুরু করতে সক্ষম হবে।
নেপালকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের উদার প্রস্তাবের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত। বিশেষ করে চিকিৎসা শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেপালি শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসাও করেন। তিনি বলেন, নেপালের অনেক চিকিৎসক বাংলাদেশে শিক্ষা লাভ করেছেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সার্ক, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজখবর নেন, ২০১৪ সালের পর এর কোনো শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। সার্কের সদর দপ্তর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত।
রাষ্ট্রদূত সার্ক ও বিমসটেকের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার এবং বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ফোরামে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।