সাতক্ষীরয় জাতীয় বাল্যবিবাহ নিরোধ দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কায়ালয়ে এক আলোচনা সভা, কুইজ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সাতক্ষীরা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাজমুন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি আহসান হাবিব। বিশেষ অতিথি ছিলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ মো. হাসেম আলী, জেলা শিক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল ইসলাম, ওন-স্টপ ক্রাইসিস সেল প্রোগ্রাম অফিসার মো. আব্দুল হাই সিদ্দিক, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স সাতক্ষীরার জেলা ইনচার্জ মো. শরিফুল ইসলাম ও মো. মেহেদী হাসান, সিডব্লিউসিএস ইনচার্জ মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক অভিশাপ। যে সকল মেয়ের অল্প বয়সে বিয়ে হয়-তারা প্রায়ই স্কুল দেড়ে দেয়, যা তাদের শিক্ষা এবং ব্যক্তিগত বিকাশের সুযোগ সীমিত করে। এটি দারিদ্র এবং বৈষম্যের চক্রকে স্থায়ী করেতে আবদান রাখে। বাল্য বিবাহ মেয়েদের অর্থনৈতিক সুযোগে প্রবেশে সীমিত করে এবং আর্থিক স্বাধিনতা অর্জনের ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে। এজন্য দেশকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে হবে, যেন আর বাল্যবিবাহ দিবস পালন করতে না হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাল্য বিবাহের ফলে একটি মেয়ে শারীরিক এবং মানষিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার আগেই প্রাপ্তবয়ষ্কদের ভূমিকা পালন করতে হয়। যা তাদের শারীরিক ও মানষিক সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। কাজেই আর শিশুর পেটে শিশু নয়, শিশুদেরকে শিক্ষা ও সুসাংস্কৃতিকের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। একই সাথে সরকারের সব মন্ত্রণালয়-বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আরো উদ্যোগী হতে হবে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিকে।
সাতক্ষীরা সদরের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ছাড়াও ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স সাতক্ষীরা পরিচালিত ৩০টি কিশোর কিশোরী ক্লাব থেকে ৩০ জন কিশোর কিশোরীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় বাল্যবিবাহ নিরোধ দিবস। অনুষ্ঠানে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কুইজ পরিচালনা করেন সাকিবুর রহমান বাবলা। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা।