ভূমি জরিপের ক্ষেত্রে কেউ বঞ্চিত হলে আমরা দেখব : ভূমিমন্ত্রী

ডিজিটাল ভূমি জরিপের ক্ষেত্রে কেউ অধিকার বঞ্চিত হলে আমরা দেখব বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করছেন শেখ হাসিনা। দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা উপহার দিতে চাই। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ডিজিটাল ভূমি জরিপ ও ভূমি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী জুলাই মাস নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা এলাকায় শুরু হচ্ছে ডিজিটাল ভূমি জরিপ। নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমে এ দেশ পেয়েছি, আমরা এই ভূমি পেয়েছি। মানুষের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে তার যথেষ্ট আবেগ ছিল। কৃষকসহ সবার জন্য এক খণ্ড জমি তাদের কাছে মূল্যবান। তিনি স্বল্প সময়ে তার স্বপ্ন পূরণ করে যেতে পারেননি। তার সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনি দেশকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চান। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যেটা সারা বিশ্বে ঘটতে যাচ্ছে। এটার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি ডিজিটাল এবং একটি স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা
তিনি আরও বলেন, কোথাও যদি দেখেন কেউ স্বার্থ সংশ্লিষ্টতার কারণে আপনাদের ভূমি বঞ্চিত করছে। সেক্ষেত্রে আপনারা অভিযোগ করবেন। আমরা সেগুলো তদন্ত করব এবং স্থানীয় জেলা প্রশাসক এটার সমাধান দিতে পারবেন। আমি আশা করব, এটা সেই পর্যায়ে সমাধান হবে। তার পর সর্বোপরি আমরাও থাকব। ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই একটি ফ্রেশ ও সুন্দর ভূমি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আসতে। আমরা চেষ্টা করছি মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে ডিসি এবং ভূমি পর্যন্ত যাওয়ার। ভূমির ক্ষেত্রে সব কর্মকর্তাদের মাঝে আজকে আমার বার্তাটাও থাকবে তাদের সিনসিয়ার এবং সৎ হয়ে চলতে হবে। এখানে যদি কোনো ত্রুটি ঘটে এবং প্রমাণিত হয় সেখানে কিন্তু কঠিন আইনগত ব্যবস্থা নিব। সে ক্ষেত্রে আমরা ছাড় দিব না। তিনি বলেন, আমি বলছি না আমাদের কোথায়ও কোনো ত্রুটি নেই। ত্রুটি আমাদের সরকারি কর্মকর্তাদের ভিতর রয়েছে আবার জমির মালিকদের রয়েছে। অবৈধ সুযোগ নেওয়ার জন্য পয়সা দিতে থাকে। আমি চেয়ারে বসে দেখেছি কেউ চাকরির জন্য বলে স্যার যা লাগে টাকা-পয়সা দিব নে। চাকরির আগে বলে টাকা দিব নে। পাবলিকেরও কিন্তু সিনসিয়ার হতে হবে। কেন টাকা দিয়ে আমি চাকরি নিব। কেন টাকা দিয়ে আমি রেকর্ড করব। রেকর্ড আমার বৈধ যতটুকু সেটুকু আমার অধিকার। সেই অধিকার বঞ্চিত হলে আমরা দেখব আমরা কথা দিচ্ছি।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক এবং প্রকল্প পরিচালক জহিরুল হক।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

আমাদের ফেসবুক পেজ

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার ,সন্ধ্যা ৭:১১
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ৩ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন