‘শেখ হাসিনা না ফিরলে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ফিরে পেতাম না’

প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনা ১৭ মে দেশে না ফিরলে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ফিরে পেতাম না। শেখ হাসিনা ফিরে সেই স্বদেশকে ফিরিয়ে আনেন। শুক্রবার (১৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) আয়োজিত শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন-যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে না ফিরলে বাংলাদেশ হতো না। তেমনি শেখ হাসিনা ফিরে না আসলে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ফিরে পেতাম না।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের সাফল্যের একটি অন্যতম খাত হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে গত ১৫ বছরে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর দেশের যোগাযোগ খাত আজ যখন উন্নয়নের শিখরে তখন ফিরে তাকিয়ে সর্বশেষ দশকটি দেখলে উন্নয়নের একটি ভিন্নধর্মী চিত্র দেখা যায়। গত দেড় দশকে স্থিতিশীল আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবস্থার তত্ত্বাবধানে দেশের অন্যান্য খাতের মতো যোগাযোগ খাত পেয়েছে উন্নয়নের ধনাত্মক মাত্রা। দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও বাণিজ্যিক খাতে সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে গত ১০ বছরে যোগাযোগ খাতে গ্রহণ করা হয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রজেক্ট। আর এর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কল্যাণে।

ইআরডিএফবি’র সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলেই মূলত বাঙালি জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই স্বাধীনতাবিরোধী জোট সরকারের শাসনামলে দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির কুশাসনে অতিষ্ঠ বাঙালি জাতি আজ বিশ্বে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন এক জাতিতে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনার অকুতোভয় সাহসী নেতৃত্ব, সততা, মেধা ও প্রজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ আজ আলোকিত অভিযাত্রায় শামিল হয়েছে, এগিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। সেদিন তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই বারবার অন্ধকারে ডুবে যাওয়া বাংলাদেশ আজ আলোর মিছিলে, কল্যাণের পথে, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। সেমিনারের শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ‘ইআরডিএফবি’র সম্মানিত সিনিয়র সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খাঁন।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

আমাদের ফেসবুক পেজ

আজকের দিন-তারিখ

  • রবিবার ,ভোর ৫:১০
  • ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ১৩ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন