সাংবাদিকদের দেওয়া বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে সিআইডি বিভিন্ন তদন্তে সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির এডিশনাল আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। রোববার (২ জুন) সিআইডি হেডকোয়ার্টারে ডিসিমিনেশন অব রিসার্চ ফাইন্ডিংস অন ‘চ্যালেঞ্জেস অব কন্ট্রোলিং ইলিগাল মানি ট্রান্সফার অ্যান্ড অনলাইন গেম্বলিং’ ও দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, সিআইডির কর্মকাণ্ড শুরু হয় ১৯০২ সাল থেকে। সেই থেকে জাতীয় পর্যায়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা ডকুমেন্ট সিআইডির কাছে রয়েছে। জাতীয় অনেক স্পর্শকাতর ও পেপারস সিআইডির কাছে আছে। রিসার্চ, একাডেমিক বিভিন্ন কাজে পেপারের প্রয়োজন হয়। এ জন্য আর্কাইভ নীতিমালা করা হয়েছে, এই নীতিমালা তৈরিতে ১৫ সদস্যের টিম কাজ করেছে। তিনি বলেন, সিআইডির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রিসার্চ ও একাডেমির কাজে ব্যবহার করা যাবে। এর জন্য আর্কাইভ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সিআইডিতে ১৯০২ সাল থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করা আছে। আরও শত শত বছর সে ডকুমেন্টগুলো যেন প্রিজার্ভ থাকে সেটির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। একাডেমিক বা রিসার্চের কাজে যেন সেসব ডকুমেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে সেজন্য আমরা এই আর্কাইভ নীতিমালা করেছি। মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে সামান্য বিভেদ হলেও ফেসবুকে একজন আরেকজনকে নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো শুরু করে। আমাদের দেশের সামাজিক মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম করা হয়। শিক্ষার্থীদের সোশ্যাল মিডিয়ার সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন জায়গায় সেমিনার করেছি আরও করব।
সিআইডির এডিশনাল আইজিপি আরও বলেন, বিকাশ প্রতারণা, জিনের বাদশাহসহ নানা প্রতারণা ঘটে যাচ্ছে এই অনলাইনে। প্রায় পত্রিকায় দেখা যায় কিশোর গ্যাংয়ের কথা। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দেখে শিখে তারা বিভিন্ন গ্যাং গড়ে তোলে। শিক্ষকরা যদি সাইবার সিকিউরিটি এবং সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান দেয়, তবে শিক্ষার্থীরা আরও সচেতন হবে সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে। এ সময় তিনি বলেন, সাংবাদিকদের দেওয়া বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে সিআইডি বিভিন্ন তদন্তে সফল হয়েছে।