স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে গুলির ঘটনায় এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। গতকাল বুধবার দেশটির হ্যান্ডলোভা শহরে ঘটনাটি ঘটে। সেখানে একটি সরকারি বৈঠকে অংশ নিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ফিকো। বৈঠক থেকে বের হওয়ার পরই তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ ফিকোকে একটি গাড়িতে তুলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ‘হামলাকারী সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে যে ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, তিনি একজন পুরুষ। তার বয়স ৭১ বছর। তিনি একজন লেখক।’
আটক ব্যক্তির বিষয়ে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতুস সুতাজ এস্তোকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকেরা। জবাবে তিনি বলেন, তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ‘সন্দেহভাজন হামলাকারী ডিইউএইচএ (রংধনু) সাহিত্য ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা। স্লোভাকিয়ার লেভিস শহরের বাসিন্দা তিনি। খবরে আরও বলা হয়, আটক ব্যক্তি তিনটি কবিতাসমগ্র লিখেছেন। তিনি স্লোভাকিয়ার লেখকদের একটি সংগঠনের সদস্য। লেখকদের সংগঠনটি এক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ২০১৫ সাল থেকে তাদের সদস্য। প্রধানমন্ত্রীকে গুলির ঘটনায় তার জড়িত থাকার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।
স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছেলের বক্তব্য প্রকাশ করেছে। তিনি বলেছেন, বাবার চিন্তাভাবনা, পরিকল্পনা সম্পর্কে সত্যিই তার কোনো ধারণা নেই। এ ঘটনা কেন ঘটল, সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারছেন না। আটক ব্যক্তির ছেলে জানিয়েছেন, তার বাবার কাছে বৈধ, নিবন্ধিত আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছেলের কাছে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, কোনো কারণে তার বাবা প্রধানমন্ত্রী ফিকোকে অপছন্দ বা ঘৃণা করতেন কি না? জবাবে ছেলে বলেন, তার বাবা ফিকোকে ভোট দিতেন না। তিনি এতটুকুই শুরু বলতে পারেন।