টঙ্গীবাড়ি উপজেলার আড়িয়ল এবং তার পাশ্ববর্তী এলাকায় খালসমূহে অপরিকল্পিত বাঁধ আর অবৈধ দখলের কারণে প্রাকৃতিক স্বচ্ছ পানির তীব্র সংকটে ভুগছে এ অঞ্চলের মানুষেরা। পদ্মা নদী হতে আসা এইসব খালের সংযোগসমূহ, পয়েন্টসমূহ অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় খালগুলো আজ মৃতপ্রায় স্রোতহীন পুস্করীণিতে পরিণত হয়েছে। রূপ নিয়েছে কচুরীপানার ভাগাড়ে। মাছশূণ্য, পঁচা, দুর্গন্ধ ও বিষাক্ত পানিতে জনজীবন বিপন্ন, গ্রামীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হুমকীর সম্মুখীন। সাঁতার কাটা, নৌকাবাইচ বা শাপলা-শালুক আজ সুদূর অতীত বা রূপকথায় পরিণত হয়েছে।
আড়িয়লের স্থানীয় মুরুব্বী আমীর হোসেন জানান, এই খালগুলো আড়িয়ল, বালিগাঁও, কলমা, ধীপুর, সোনারং টঙ্গীবাড়ি, আব্দুলাপুর, বেতকাসহ আশপাশের ইউনিয়নের মানুষের একমাত্র নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল। খালগুলো দিয়ে ছোট বড় লঞ্চ, পণ্যবাহী বিভিন্ন নৌকা, ট্রলার ইত্যাদি চলাচল করত। এই অঞ্চলের মানুষেরা বড়-মোকাম হয়ে পদ্মা নদীতে, তালতলা হয়ে ইছামতি নদীতে এবং মিরকাদিম হয়ে ধলেশ্বরী নদীর মাধ্যমে জীবন ও জীবিকার তাগিদে দেশ-বিদেশে পারি জমাতো। এই খালের মাধ্যমে ময়লা-আবর্জনা দূরবর্তী নদীতে অপসারিত হতো। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয় সেসব সরকারি খালসমূহ আজ অপরিকল্পিত বাঁধ আর অবৈধ দখলদারদের স্থাপনায় হারিয়ে যেতে বসেছে।
মৃতপ্রায় এই খালগুলো উদ্ধারের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। স্থানীয়রা এই অঞ্চলের বিপন্নপ্রায় পরিবেশ রক্ষা, কৃষি জামির উর্বরতা বৃদ্ধি এবং গণমানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকির হাত থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারি খালসমূহের বিভিন্ন পয়েন্টের অপরিকল্পিত বাঁধ আর অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ ও খাল খনন করার দাবি জানিয়েছেন।