‘ঈগল’ রহস্যজনক আলোচনায়

ঈগল বৃহৎ আকারের পাখি। খুবই শক্তিধর এবং দক্ষ শিকারি পাখি। ঈগল বনে-ঘন জঙ্গলে বসবাস করা একটি পূর্ণবয়স্ক ঈগলের ওজন প্রায় ৩০ কেজি এবং লম্বায় প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এ পাখি বানর, ছোট জাতের পাখি, টিকটিকি, হাস-মুরগী খেয়ে জীবনধারণ করে থাকে। এই ঈগল পাখি হঠাৎ দেশের রাজনীতি এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থ হিসেবে যেসব প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন তাদের বেশির ভাগই নির্বাচনী প্রতীক ‘ঈগল’ পেয়েছেন। নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় প্রভাবশালী ওই ঈগল মার্কার প্রার্থীরা নির্বাচনের পর একতাবদ্ধ হয়ে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের ভুমিকায় অবর্তীর্ণ হবে এমন আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। কারণ জাতীয় সংসদের ‘নাচের পুতুল’ খ্যাত জাতীয় পার্টি শেষ মুহুর্তে ২৬ আসন সমঝোতা করে নির্বাচনে নেমেছে। সুবিধাবাদী ও মেরুদণ্ডহীন দলটি কার্যত বহু আগেই জনবিভিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়াও ১৪ দলীয় জোটে ইনু- মেনন-মঞ্জুসহ যে ৬ আসন ছেড়ে দেয়া হয়েছে সেগুলোতে আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থী তথা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রায় সবাই ঈগল প্রতীক পেয়েছেন। ফলে ভোটযুদ্ধে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর বেশির ভাগই ঈগল মার্কার প্রার্থীদের টক্কর দিয়ে কুলিয়ে উঠা কঠিন হয়ে পড়বে। আবার ১৪ দলীয় জোটের শরীক যারা নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন তাদের আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ঈগল মার্কা নিয়ে প্রচণ্ড বেগে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন। ওই সব আসনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ স্থানীয় নেতাদের বেশির ভাগই (২৬টি) নৌকার বদলে ঈগলের পক্ষ্যে প্রচারণায় নেমেছে।
নির্বাচন কমিশনের হিসেবে অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনে লড়তে মাঠে নেমেছেন মোট ১৮৯৬ প্রার্থী। প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অনেকটাই কৌশলী। তবে ২০১৪ সালের ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হওয়ার যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে কেউ যাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে না পরেন সে ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন স্বয়ং দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রতিটি আসনে ডামি প্রার্থী রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। সে কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নিজেরাই অনেক ডামি প্রার্থী ভোটের মাঠে নামিয়েছেন। ফলে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের মধ্যে আসন ভাগবাটোয়ারার পর দলের ডামি প্রার্থী তথা স্বতন্ত্রদের জন্যও মাঠ উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে দেখা যায় কাকতালীয়ভাবেই হোক বা কৌশলগত ভাবেই হোক আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বেশির ভাগ প্রভাবশালীই পেয়েছেন পছন্দের ‘ঈগল’ প্রতীক। তাই ধারণা করা হচ্ছে, অধিকাংশ আসনেই নৌকা এবং লাঙ্গলের সঙ্গে লড়াই হবে ঈগলের।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

খুলনার সময়

একটি সৃজনশীল সংবাদপত্র

আমাদের ফেসবুক পেজ

আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার ,বিকাল ৫:১৪
  • ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ২১ মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন