চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়ে নন্দকুঁজার পেটে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন

চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়ে

খুলনার সময়: গুরুদাসপুরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া নন্দকুঁজা নদীর পেটে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রহিম ও ইউপি সদস্য মো. আলমের বিরুদ্ধে। এই দুই ব্যাক্তি নাজিরপুরের ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাইয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে রমরমা বালুর ব্যবসা করছেন। গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর হাট এলাকায় নন্দকুঁজা নদীর ভেতর তারা ড্রেজার মেশিন বসিয়েছেন। অভিযুক্ত বালু ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কুমারখালি গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. আলম ওই ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। মূলত নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ও চেয়ারম্যানের ভাই নজরুল ইসলামের নাম ব্যবহার করে প্রায় ১৫ দিন ধরে নন্দকুঁজা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন অভিযুক্তরা। বর্তমানে নাজিরপুর বাঁশ হাটের উত্তর অংশে নদী থেকে বালু উত্তোলণ করে প্রস্তাবিত আনোয়ার হোসেন ক্লিনিকের ভেতর রাখা হচ্ছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলন অবৈধ। বালু ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বালু উত্তোলনের জন্য তার কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সহযোগিতা করেননি। স্থানীয়রা বলছেন আব্দুর রহিম দীর্ঘদিনের পুরনো বালু ব্যবসায়ী। প্রতি বছরই রহিম নন্দকুঁজা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলণ করে ব্যবসা করেন। এবছর এই ব্যবসায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলমকে যুক্ত করা হয়েছে। বালু উত্তোলনের কাজে চারজন শ্রমিক নিয়োগ করা আছে। ওই শ্রমিকদের দিয়ে বালু উত্তোলন, সংরক্ষণ ও বিক্রি করানো হচ্ছে। তাদের এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ অব্যাহত থাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছেÑ নাজিরপুর হাটের পূর্বপাশের বাঁশহাট সংলগ্ন নদীতে ড্রেজার বসানো হয়েছে। ড্রেজার থেকে উত্তোলিত বালু পাইপের মাধ্যমে প্রস্তাবিত আনোয়ার হোসেন ক্লিনিকের ফাঁকা স্থানে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সেখান থেকেই বিক্রি করা হচ্ছে। বিএডিসির প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান বলেন, নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে অদূর ভবিষ্যতে নদীভাঙ্গন, নব্যতা সংকটসহ নানমুখি প্রকৃতিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বালু উত্তোলনের কথা স্বীকার করে আব্দুর রহিম বলেন, মাদরাসায় বালু বিক্রির জন্য আইয়ুব চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যানের ভাই নজরুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য মো. আলম তার ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। মূলত বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ড্রেজার মেশিনটি তার। সব ঠিক রেখেই তারা বালু উত্তোলণ করছেন।

চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, মূলত ৭টাকা সেপ্টি দরে একটি হাফিজিয়া মাদরাসায় বালু বিক্রির কথা বলে আব্দুর রহিম নদীতে ড্রেজার বসিয়েছেন। রহিমের সাথে বালু উত্তোলণ বা ব্যবসায় তিনি যুক্ত নন। গুরুদাসপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান শাকিল বলেন, শুক্রবার অভিযান দিয়ে বালু উত্তোলণের কাজে ব্যবহৃত পাইপ জব্দ করা হয়েছে। গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় বলেন, বালু উত্তোলন করতে নিষেধ করা হয়েছে।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

আমাদের ফেসবুক পেজ

আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার ,সকাল ১১:০৬
  • ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ২১ মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন