ফরেষ্ট স্টেশন কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

জমি দখলের অভিযোগ

খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার কয়রায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের আওতায় বানিয়াখালী ফরেষ্ট অফিসের এক কর্মকর্তা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এক ব্যক্তির জমি অবৈধভাবে দখল করে লাল পতাকা টানানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১১ অক্টোবর এ ঘটনা ঘটেছে। বুধবার কয়রা প্রেসক্লাবে এসে এমন লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলার হড্ডা গ্রামের তরুণ প্রকাশ রায়। এ বিষয়ে তিনি কয়েকবার জেলা প্রশাসকসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণ প্রকাশ রায় ওই এলাকায় প্রায় ৩ যুগ পূর্বে ৪ একর জমি কিনে ভোগ দখল করে আসছেন। তিনি বাড়ীর সামনেই সেই জমিতে ঘের করে মাছ চাষ করে আসছেন। ভুক্তভোগী তরুণ প্রকাশ জানান, ২০০৩ সালে বানিয়াখালী ফরেষ্ট অফিস নির্মাণের জন্য আমার মোট ৪ একর সম্পত্তির মধ্য হইতে ১.২৬ একর সম্পত্তি প্রদান করি এবং শুধুমাত্র ক্ষতিপূরণ বাবদ আমি ৮৮,০০০ হাজার টাকা গ্রহন করি। পরবর্তীতে বনবিভাগের কাছে বাকি সম্পত্তি ছাড়িয়া দেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করিলে তারা দীর্ঘদিন যাবত তালবাহানা করিতে থাকে। পরবর্তীতে আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট আবেদন করিলে, আবেদনের পরিপেক্ষিতে ১৫/০৭/১২ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে ফরেষ্ট অফিসের অধিগ্রহন জমি পরিমাপ পূর্বক সীমানা নির্ধারনের জন্য লিখিত আদেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় বানিয়াখালী ফরেষ্ট অফিসের জমি পরিমাপ পূর্বক সীমানা নির্ধারণের জন্য সার্ভেয়ারকে লিখিত আদেশ দেন। সে মোতাবেক সার্ভেয়ার আসে এবং কিছু জমি পরিমাপের পরপরই সন্ধ্যা আগত হলে জমি পরিমাপ স্থগিত থাকে। পরবর্তীতে আমি যোগাযোগ করিলে তারা বিভিন্ন তালবাহানা করিয়া দীর্ঘদিন অতিবাহিত করেন। পরবর্তীতে সংসদ মহোদয়ের নিকট লিখিত অভিযোগ করলে । সাংসাদ বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মহোদয়কে আবেদন কারীর বাকি সম্পত্তি যাতে ফেরত পায় সে ব্যাবস্থা করার জন্য নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক আমরা ২ একর সম্পত্তি ভোগ দখলে আছি। বর্তমানে ষ্টেশন অফিসার আবু সাইদ সাহেব আসার পরে আমাকে হুমকি ধামকী দেয়, যে এটা আমাদের বন বিভাগের সম্পত্তি এ সম্পত্তি আর দিব না, জমি ছেড়ে দে। ফলে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের শরণন্ন হয়ে লিখিত আবেদন করি। আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি ১০/০৭/২০২৩ তারিখে সার্ভেয়ারকে জমি পরিমাপের জন্য লিখিত আদেশ দেন। সার্ভেয়ার ১২/১০/২০২৩ তারিখে জমি মাপতে আসবেন বলে আমাকে ওনার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু সার্ভেয়ার ১১/১০/২০২৩ ইং তারিখে বিকাল ৩ টার সময় জমি পরিমাপের উদ্যেশ্যে বানিয়াখালী ফরেষ্ট অফিসে আসেন। আমি সার্ভেয়ারের কাছে জিজ্ঞাসা করি যে, আপনি আসলেন তো আমাকে জানালেন না তো? উত্তরে উনি বলেন, আমি সরকারি জমি পরিমাপ করতে এসেছি, আপনাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করিনি। তরুণ প্রকাশ আরও বলেন, ফরেষ্ট কর্মকর্তা আবু সাইদ এবং সার্ভেয়ার হাদিছুর রহমান যোগসাজগে জাল জালিয়াতি ম্যাপ তৈরি করে ফরেষ্ট অফিসের জমি বাদ রেখে আমার জমিতে লাল ফ্লাগ স্থাপন করেছেন। এমনকি এর আগে ফরেষ্ট কর্মকর্তা আমাকে হয়রানি করার জন্য আমার ১২ বছর ছেলের নামে মিথ্যা হরিণ শিকারির মামলা দেন। বানিয়াখালী ফরেষ্ট অফিসের সীমানা পিলার তুলে ফরেষ্ট কর্মকর্তা আবু সাইদ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্থানীয় দুস্কৃতকারি আফজাল শিকারি, ফরহাদ শাহিন সানা ও ভৃত্তি মন্ডলকে দিয়ে আমার সম্পতিতে নতুন পিলার স্থাপন করেন। বানিয়াখালী ফরেষ্ট অফিসের অধিগ্রহনকৃত জমি বর্তমান বি আর এস জরিপে কোন দাগ থেকে কত টুকু সম্পত্তি অধিগ্রহন করেছেন তা গেজেটে প্রকাশিত হয়নি। বিষয়টিতে আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এসব বিষয় জানতে ফরেষ্ট কর্মকর্তা আবু সাইদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

খুলনার সময়

একটি সৃজনশীল সংবাদপত্র

আমাদের ফেসবুক পেজ

আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার ,সকাল ১১:৫৮
  • ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ২১ মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন