প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের দাপুটে জয়

বাংলাদেশের দাপুটে জয় প্রবা প্রতিবেদন

ভারতের গুয়াহাটিতে বিশ্বকাপের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দারুন জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪৮ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় সাকিববিহীন টাইগার বাহিনী। ব্যাট হাতে তিন ব্যাটার ফিফটি করেছেন। লিটন দাস ৬১, তানজিদ হাসান তামিম ৮৪ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত ৬৭ রান করেন। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ফিল্ডিং পায় বাংলাদেশ। এ ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান না খেলায় দলের নেতৃত্ব দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সাকিবের ডেপুটি নাজমুল হাসান শান্তও এ ম্যাচে খেলেননি।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.১ ওভারে ২৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ব্যাট হাতে শ্রীলঙ্কাকে ৫৫ বলে ৬৪ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল পেরেরা। তবে দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে কাঁধের ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন ৩৪ রান করা পেরেরা। কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে দলের রান ১শ পার করেন নিশাঙ্কা। মেন্ডিসকে ২২ রানে থামিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। এরপর দলীয় ১৬৪ রানের মধ্যে শ্রীলঙ্কার আরও ৩ উইকেট তুলে নেন স্পিনার মাহেদি হাসান। সাদিরা সামারাবিক্রমা ২, নিশাঙ্কা ৬৮ ও চারিথ আসালঙ্কা ১৮ রান করে মাহেদির শিকার হন। দলীয় ১৭৭ রানে অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে ৩ রানে শিকার করে শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলেন পেসার শরিফুল ইসলাম। এ অবস্থায় লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে ছোট ছোট জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ৫৫ রানের ইনিংস খেলে এ ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের শিকার হন ধনাঞ্জয়া। শেষ পর্যন্ত ৫ বল বাকি থাকতে ২৬৩ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের পক্ষে মাহেদি হাসান ৩৬ রানে ৩টি, তানজিম হাসান সাকিব-শরিফুল-নাসুম ও মিরাজ ১টি করে উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করে লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের ২০.৪ ওভারে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে বাংলাদেশের। লিটন দাস ৬১ রানে ফিরে গেলে ১৩১ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে। ৫৬ বলে ৬১ রান করা লিটন দাসের ইনিংসে ১০টি চারের মার ছিল। লিটন যখন সাজঘরে ফিরেন সমান সংখ্যক ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন তানজিদ তামিম।

এরপর দলীয় ১৮৩ রানে সাজঘরে ফিরেন তামিম। আন্তর্জাতিক ৫টি ওয়ানডে খেলা তানজিদ তামিম ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিটাতে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করতে পারেননি। ৮৮ বলে ৮৪ রানে ফিরেন তিনি। তার এ ইনিংসে ১০টি চারের মারের সাথে ২টি ছক্কা ছিল। তানজিদ তামিম ফেরার পর অধিনায়ক মেহেদী মিরাজের সাথে জুটি গড়তে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। নিজের প্রথম বলেই ক্যাচবন্দি হয়ে খালি হাতে সাজঘরে ফিরেন তিনি। এরপর মিরাজের সাথে বাকি কাজটুকু সারেন মুশফিকুর রহিম। শেষ পর্যন্ত মেহেদী হাসার মিরাজ ৬৭ এবং মুশফিকুর রহিম ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। মিরাজ ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন। এছাড়া মুশফিকের ব্যাটে ছিল ২ চার ও এক ছক্কা।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

খুলনার সময়

একটি সৃজনশীল সংবাদপত্র

আমাদের ফেসবুক পেজ

আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার ,সকাল ১১:০৮
  • ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ২১ মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন