ফিলিস্তীনিদের জাতিগত ভাবে নির্মূল করতে চাইছে ইসরাইল

ফিলিস্তিন

খুলনার সময়: ইসরাইলের বাহিনী গাজায় নতুন মাত্রায় গাজায় হামলা পরিচালনা করছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন সামাজিক ভবন গুলোতে ব্যাপক ভিত্তিক বিমান হামলায় হত্যা করেছে নিরীহ ফিলিস্তীনিদের। গত চব্বিশ ঘন্টায় দুই শতাধিক ফিলিস্তীনিকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরাইল বাহিনী ইসরাইলের অব্যাহত হামলা আগামী দিনে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দৃশ্যতঃ যে কোন সময়ে ছড়িয়ে যেতে পারে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে। ইতিমধ্যে ইসরাইল আন্তর্জাতিক বিশ্বে বিভিন্ন ভাবে প্রতিবন্ধকতায় পড়েছে। গত দুই মাস যাবৎ ইসরাইলের বন্দরে পশ্চিমাদের কোন জাহাজ প্রবেশ করছে না। লোহিত সাগরে হুতি যোদ্ধারা এমন ভাবে শক্ত অবস্থানে অবস্থান করছে। গতকালও লোহিত সাগরে ইসরাইলগামী জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতি যোদ্ধারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন দশ দেশের জোট হুতি যোদ্ধাদের বিতাড়িত পরবর্তি লোহিত ও ভূমধ্য সাগরে নিরাপদ করতে কিন্তু বাস্তবতা হলো হুতি যোদ্ধাদের নির্মূল করতে ব্যর্থ হয়েছে জোটভূক্ত দেশগুলো। এখানেই শেষ নয় গতকাল হুতি যোদ্ধারা একাধিক জাহাজে ড্রোন হামলা ও পরিচালনা করেছে উল্লেখ্য গত সপ্তাহে জোটভূক্ত দেশের অন্যতম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় দশ হুতি যোদ্ধা নিহত হলে লোহিত সাগরে হুতি যোদ্ধারা ব্যাপক ভিত্তিক শক্তি সঞ্চয় করে সাগরে শক্তিশালী অবস্থান তৈরী করে। বর্তমানে ইউরোপের দেশগুলো তথা পশ্চিমা দেশের জাহাজগুলো আফ্রিকা ঘুরে গন্তব্যে পৌছাচ্ছে। লোহিত ও ভূমধ্যসাগরে বিশ ভাগ জাহাজ চলছে পক্ষান্তরে আশি ভাগ জাহাজ চলাচল করছে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হুতি যোদ্ধাদের উস্কানি ও শক্তি সামর্থ সরবরাহের ক্ষেত্রে ইরানের উপর দায় চাপাচ্ছে, পাশাপাশি ইয়েমেন কেও দুষছে। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করার হুমকির পর পরই ইয়েমেনের সরকার সেনা কমান্ডারদের নিয়ে বৈঠক করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে হুতি যোদ্ধাদের পক্ষ হতে বলা হয়েছে ইয়েমেনে হামলা করলে তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ঘেরাও দিতে হবে। ইসরাইলের পক্ষ হতে দাবী করা হয়েছে যে তারা উত্তর গাজার হামাসের একটি সেন্টার ধ্বংস করেছে এবং উক্ত সেন্টারে অবস্থানরত কয়েক হাজার হামাস যোদ্ধা ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কমান্ডারকে হত্যা করেছে ইসরাইলের পক্ষ হতে আরও বলা হয়েছে বেঁচে থাকা অবশিষ্ট হামাস সন্ত্রাসীরা বিক্ষিপ্ত ভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলের এই ঘোষনাকে প্রত্যাখান করে হামাসের পক্ষ হতে বলা হয়েছে ইসরাইল তাদের সাফল্যে যে দাবী করছে তা ভুলে ভরা এবং হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড এক টেলিগ্রাম বার্তায় বলেছে ইসরাইল দেড়মাস আগে উত্তরাঞ্চলের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন নেওয়ার দাবী জানানোর পর এমন ঘোষনা বর্তমান সময়ে দেওয়ার অর্থ পূর্বের ন্যায় বর্তমান সময়েও তারা সফল নয়। হামাসের যোদ্ধারা প্রতিমুহুর্তে ইসরাইলের সেনাদের বিরুদ্ধে মরণপন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে খান ইউনিসে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চলছে চরম লড়াই। গতকাল হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরাইলের ছয় সেনা নিহত হয়েছে এবং ইসরাইলি বাহিনী খান ইউনিসে বাইশ জনকে হত্যা করেছে। খান ইউনিসের একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা করলে অন্তত বাইশজন ফিলিস্তীনি নিহত হয়। গতকাল ইসরাইল বাহিনীর দখলদার পশ্চিমতীরে ও পূর্ব জেরুজালেম অভিযান পরিচালনা করেছে পশ্চিম তীর ও পূর্বজেরুজালেম ফিলিস্তীনিদের ভূ-খন্ড, কিন্তু তাহা দখলদার ইসরাইলি বাহিনী জোর করে দখল করে এবং ফিলিস্তীনি ভূমিকে ইহুদী বসতি স্থাপন শুরু করে বর্তমান সময়ে পশ্চিম তীর ও পূর্বজেরুজালেমে ইহুদীদের অবস্থান বিদ্যমান। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অতি সম্প্রতি গাজার পশ্চিম তীর সফর করেছে। ইসরাইলি সেনাদের গাজা বর্তমান সময়ে অভিশপ্ত নগরীতে পরিনত হয়েছে। ইসরাইলি বিমান বাহিনীর বিমান গুলো প্রতিমুহুর্তে হামলা চালিয়ে নিরীহ ফিলিস্তীনিদেরকে হত্যা করলেও গাজায় তারা নিরাপদ নয়। হামাসের হামলায় প্রতিদিনই ইসরাইলি সেনা বাহিনী হতাহতের শিকার হচ্ছে। হামাস যোদ্ধাদের হাতে অনেক আগেই ইসরাইলি সেনারা পরাজিত হতো কিন্তু ইসরাইলের বিমান বাহিনীর কল্যানে হামাস যোদ্ধারা আকাশ পথে হামলা পরিচালনা বা আকাশ পথের হামলা প্রতিরোধ করতে পারছে না। ইসরাইলের হামলাকে কেবল বর্বরতা বা গণহত্যাই যথেষ্ট নয় ইসরাইলের মুল লক্ষ্য জাতিগত ভাবে ফিলিস্তীনিদেরকে নিশ্চিহ্ন করা আর সেই লক্ষেই তারা অগ্রসর হচ্ছে এমনটি তাদের কর্মতৎপরতায় প্রমানীত হচ্ছে। অতি সম্প্রতি ইসরাইলের পক্ষ হতে রোডম্যাপ ঘোষনা করা হয়েছে উক্ত রোড ম্যাপে বলা হয়েছে যুদ্ধ শেষ গাজাকে কিভাবে পরিচালনা করবে ইসরাইল। এমন রোডম্যাপ আর ঘোষনা বিশ্বময় দখলদার ইসরাইলের দখলদারিত্বের নগ্নতা প্রকাশ পেয়েছে। এদিকে গাজায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ত্রান তৎপরতা পরিচালিত হলেও ফিলিস্তীনিরা তা পর্যাপ্ত হারে পাচ্ছে না কারন ত্রানের অপ্রতুলতা সেই সাথে বিশুদ্ধ পানির অভাব। গাজার সড়কেও ধ্বংস স্তুপের নিচে গতকালও লাশ উদ্ধার করেছে রেডক্রস, ইসরাইলে অভ্যন্তরে সাধারন ইসরাইলিদের বিক্ষোভ চলছেই। হামাসের হাতে থাকা বন্দীদের মুক্ত করতে না পারায় দীর্ঘ তিন মাস যাবৎ ইসরাইলে চলছে বিক্ষোভ ইরান এবং লেবানন এর মধ্য ইসরাইলে হামলার বিষয়ে আলোচনা চলছে এমন খবর দিয়েছে একাধিক পশ্চিমা মিডিয়া।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

আমাদের ফেসবুক পেজ

আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার ,বিকাল ৪:১৩
  • ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ২১ মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন