শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বিদ্যা বিকাশ কেন্দ্র

রিয়াদ হোসেন: দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠেছে বিদ্যাবিকাশ কেন্দ্র নামে ব্যতিক্রমধর্মী একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠালগ্ন ২০২০ সাল থেকে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠানটি নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এলাকার স্থানীয় ছেলেমেয়েদের স্ব শিক্ষায় শিক্ষিত হতে এবং আপন মহিমায় উদ্বেলিত হতেই প্রতিষ্ঠানটির জন্ম হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এ অঞ্চলে জ্ঞানের বাতিঘর হিসেবে আলো জ্বালিয়ে আসছে বিদ্যাপীঠটি। যেখানে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আঁকাআকি, নাচ-গানের অনুশীলন এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছে ‘গ্রাম হবে শহর’– এ প্রচেষ্টাকে সামনে নিয়ে সপ্তাহে একদিন এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় পরিষ্কার পরিছন্নতার কাজ করছেন বিদ্যা বিকাশ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা দেবাশীষ রায় অলোক। তিনি তালার খেশরা ইউনিয়নের দঃ শাহাজাতপুর গ্রামের নীলমনি রায়ের ছেলে। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে মাটির রাস্তায় বালি দিয়ে চলাচলের উপযোগী করা, গ্রামের আশপাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে পানি সরবরাহের ব্যাপারে তিনি নানামুখী কাজ করে থাকেন।

এ বিষয়ে শিক্ষক আছাদুজ্জামান মিঠু বলেন, প্রতিষ্ঠানটি সবসমসয় অত্যাধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার দিকে নজর দিয়ে শিক্ষা-কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের জন্য ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করানো কঠিন কাজ। পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে শতভাগ শিক্ষা বাস্তবায়ন করতে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরী করা খুব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাবেক চেয়ারম্যান এস.এম লিয়াকত হোসেন বলেন, বিদ্যা বিকাশ কেন্দ্রের পাশাপাশি এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক দেবাশীষ রায় মন্দির তৈরী করছে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের জন্য। এ পল্লীতে সুন্দর- সার্বিক পরিবেশ বজায় রাখতে তার ভূমিকা অপরিসীম। এ সমাজকে আলোয় আলোকিত করতে তিনি কাজ করছেন।

আ. লীগের খেশরা ইউনিয়ন সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, অলোক ছাত্র অবস্থায় সে মেধাবী ছিলো। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা তার ছাত্রজীবন থেকেই আমরা দেখে আসছি। সেটার বাস্তবায়ন হয়েছে বিদ্যা বিকাশ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে। বর্তমান বাংলাদেশে শিক্ষায় একটি সংকট চলছে। এ সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে ভালো মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুবই জরুরী। যেখানে ভালো পরিবেশ থাকার পাশাপাশি শিক্ষাকে পাঠ্য বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না৷

দেবাশীষ রায় অলোক বলেন, একসময় শহরে শিক্ষকতা করেছি। পরবর্তীতে ২০১০ সালে গ্রামে আসি৷ গ্রাম ও শহরের বাচ্চাদের ভিতরে যেন কোন বৈষম্য না সৃষ্টি হয়; সে লক্ষেই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলি। সম্ভবনাময় বাচ্চাদের নিয়েই বিদ্যাবিকাশ কেন্দ্র কাজ করে চলেছে। তাদের নৈতিক শিক্ষাই শিক্ষিত করে তোলাই আমাদের প্রধান কাজ। আশা রাখবো, এলাকার মানুষ আমার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে এবং এমন ভালো কাজে সকলে এগিয়ে আসবে।

সভাপতি এম. এম ফজলুল হক বলেন, শিক্ষায় উন্নতির জন্য এমন স্কুল প্রতিষ্ঠা করা খুব জরুরী। একদিন এই স্কুল থেকে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করবে অলোক–সে বিশ্বাস আমরা করি।

খুলনার সময়: রি/হো

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

আমাদের ফেসবুক পেজ

আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার ,বিকাল ৫:১১
  • ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ২১ মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন