শীতের শুরুতেই জমে উঠেছে ভাপা পিঠার ধুম

যশোরের মণিরামপুরে শীত পড়তে না পড়তেই জমে উঠেছে ভাপা পিঠা ব্যবসা ভোর ও সন্ধ্যায় পড়ছে কুয়াশা। গত দুই সপ্তাহ যাবৎ এ কুয়াশার মধ্যে দিয়ে শীতের শুরু হয়েছে। শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে চলছে পিঠা বিক্রির ধুম। পিঠা নিয়ে বাঙালির আবেগ চিরকালের। নানা রকমের পিঠার আয়োজনের মধ্যে অন্যতম হলো ভাপা পিঠা। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন এ অঞ্চলের মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। বিকাল থেকে রাত অবদি নানা বয়সী মানুষ পিঠা খেতে আসছেন পিঠার দোকানে। তবে আগের মতো গৃহে ঘরে ভাপা পিঠা তৈরির তেমন উৎসাহ দেখা যায় না। বর্তমানে শুধু বউ- ঝিয়েরা নয়, পুরুষরাও অভিনব পন্থায় ভাপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করছেন। রাস্তার পাশে, অলিতে-গলিতে ও মোড়ে-মোড়ে জমে উঠেছে এসব শীতের পিঠার দোকান। পিঠাপ্রেমীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে এসব দোকান। শীতের মৌসুমে মুখে জল আনা ভাপা পিঠার দোকানে ভিড় করছে শিশু-কিশোর, বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষ। তারা পিঠা খেতে খেতে মজার গল্পে মেতে ওঠেন। মণিরামপুর পৌরসভার ইজিবাইক স্ট্যান্ড, দূর্গাপুর মুরগীহাটা মোড়, গরুহাটা মোড়,পাইকাড়ি কাঁচা বাজার মোড়সহ বিভিন্ন হাটবাজারে ভাপা পিঠা বিক্রির দৃশ্য দেখা গেছে। সুমন হোসেন নামে এক যুবক বলেন, ভাপা পিঠা আমাদের দেশের গ্রামীণ বাংলার দেশীয় সংস্কৃতি লালন করছে। অন্যদিকেমৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। পিঠাপ্রেমী জান্নাত আক্তার বর্ষা বলেন, গরুহাটা মোড়ে ১০ টাকায় নারকেল-গুড় দিয়ে সুস্বাদু ভাপা পিঠা পাওয়া যায়। ভালো লাগে, তাই নিয়মিত খাই। সোহেল রানা মুন্না ও এইচ এম বাবুল আক্তার নামের দুজন ক্রেতা বলেন, আমরা প্রায়ই এখানে পিঠা খাই। চাল ভেঙে আটা করে পিঠা বানানোর সময় সুযোগ হয় না। ঝামেলা ছাড়া স্বল্প দামে হাতের নাগালে এখন পিঠা পাই। তাই এসব পিঠাই আমাদের ভরসা। পৌরসভার দূর্গাপুর মুরগীহাটা মোড়ে পিঠা বিক্রি করেন গোলাম মোস্তফা তিনি বলেন, শীতকালে পিঠা বিক্রি করে থাকি। অন্য সময় বালি বিক্রির কাজ করি। এখন পিঠা বিক্রি করে যা আয় হয় তাই দিয়ে ৫জনের সংসার ভালো ভাবে চলে। শীত বাড়লে পিঠা বিক্রি আরো বেড়ে যাবে। ভাপা পিঠা বিক্রেতা রাশেদ দেওয়ান জানান, চালের গুঁড়ার সঙ্গে গুড় এবং নারিকেল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভাপা পিঠা, প্রতিপিস পিঠা বিক্রি করছি ১০ টাকা। প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে পিঠা তৈরি ও বিক্রির কাজ। দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ শত পিস পিঠা বিক্রি করলে খরচ বাদ দিয়ে সাত- আটশ’ টাকা আয় হয়। অল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে ভালো লাভ হওয়ায় এখন নারী-পুরুষ ও নেমেছেন এ পিঠা ব্যবসায়।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

খুলনার সময়

একটি সৃজনশীল সংবাদপত্র

আমাদের ফেসবুক পেজ

আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার ,সকাল ১১:১৬
  • ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ২১ মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন