আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হবে। তবে এর তীব্রতা কম থাকবে। রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি থাকবে। বৃষ্টিপাত হলেও গরমের তীব্রতা কমবে না। আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেছেন, শুক্র ও শনিবার বিভিন্ন জেলায় বিশেষ করে রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টিপাতের মধ্যেও গরমের তীব্রতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় গরমের অনুভূতি বেশি থাকবে। মানুষ গরমের ঘেমে যাবে। এ ছাড়া বৃষ্টিপাতের সময় ঝড় বাতাস কম থাকলেও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এক কথায় সেপ্টেম্বর মাস জুড়েই বৃষ্টিপাত থাকবে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় নেত্রকোনায় সর্বোচ্চ ১৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বগুড়া, সৈয়দপুর, ডিমলা, তেঁতুলিয়া, রাজারহাট, ময়মনসিংহ, সিলেট, মাইজদীকোর্ট, ফেনী, চূয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী ও মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সীতাকুণ্ডে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গতকাল শুক্রবার বান্দরবানে সর্বনিম্ন ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু উত্তরাংশে সক্রিয় এবং বাংলাদেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে।