স্মার্ট সাংবাদিকতা একটি সৃজনশীল পেশা

সাংবাদিকতা

সাংবাদিকতা একটি সম্মানজনক সৃজনশীল পেশা। সাতক্ষীরা জেলায় প্রায় সহস্রাধিক সাংবাদিক কর্মরত আছে। পথে ঘাটে সাংবাদিক পরিচয় দিচ্ছে নাম সর্বস্ব কিংবা ভূইফোঁড় অনলাইন পত্রিকার কার্ডধারী ব্যক্তিরা। সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করে ব্যাপক চাঁদাবাজির ঘটনাও অস্বিকার করার সুযোগ নেই। আমি আজ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কিছু কথা তুলে ধরছি, ২০০৯ সালে দৈনিক কাফেলা পত্রিকায় শহর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করি। এরপর দৈনিক পত্রদূত, দৈনিক কালের চিত্র, দৈনিক দক্ষিণের মশাল, দৈনিক সাতঘরিয়া, দৈনিক দৃষ্টিপাতসহ জাতীয়, আঞ্চলিক এবং সরকারি নিবন্ধতকৃত অনলাইন মিডিয়ায় কাজ করেছি। বর্তমানে দৈনিক সাতনদী পত্রিকায় মফস্বল বার্তা সম্পাদক হিসেবে কাজ করছি। সাংবাদিকতার পাশাপাশি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করি। ব্যক্তি জীবনে আমার পরিবার নিয়ে আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

সাতক্ষীরার সাংবাদিক হিসেবে যাঁদের পরিচিতি আছে, সকলের সাথে আমার সুসম্পর্ক এবং পরিচয় আছে। এরপরেও যদি কোন সিনিয়র সাংবাদিকের কাছে আমার সম্পর্কে জানতে চান, তিনি স্পষ্টভাবে আমার সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করবেন। এটাই জেলার সাংবাদিকতার সৃজনশীলতা বাঁধাগ্রস্থ করছে। সম্প্রতি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব নিয়ে যে অবস্থা বিরাজমান সেটা আপনারা সকলেই জানেন। প্রতিনিয়ত পত্রিকায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নানান অশ্লীল ভাষায় সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। রিপোর্টার থেকে সম্পাদক কেউ এর বাইরে নেই। সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে প্রকৃত সংবাদকর্মীদের যোগাযোগের দূরত্ব বাড়ছে। অপসাংবাদিতা বেড়েই চলেছে। হলুদ সাংবাদিক কি সেটা এজেলার মানুষ বুঝতে পারছে।

সাংবাদিকতায় ভিন্নতা এবং ব্যতিক্রমী উপস্থাপনায় এ জেলার তরুণরা এখন সাংবাদিকতা করছে। সৃজনশীল উপস্থাপনা ও সংবাদ লেখায় তরুণদের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন। সাংবাদিকদের বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের উন্নয়ন যেমন কাল্পনিক. তেমনি সাংবাদিকতায় নীতি নৈতিকতা অপরিহার্য। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল শক্তিশালী না হলে সাংবাদিকতা পেশা রাষ্ট্রের জন্য হুমকি স্বরুপ হয়ে দাঁড়াবে। স্থানীয় পত্রিকায় কর্মরত সংবাদ কর্মীদের মূল্যায়ন এবং সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

সংবাদপত্রের মালিক এবং সম্পাদক পরিষদের সমন্বয়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরি করে তাদের প্রেসক্লাবমুখী করতে পারলে সাংবাদিকতার জবাবদিহিতা নিশ্চত হবে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের জন্য ডিজিটাল ল্যাপ স্থাপন এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে কমপক্ষে ১০টি কম্পিউটারের সমন্বয়ে একটি নিউজ রুম ডিজিটাল ল্যাব প্রয়োজন।

সাংবাদিকদের সুরক্ষায় নিম্নোক্ত বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ

রাষ্ট্রের মানবিক এবং গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি বিচার করলে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রশ্ন উঠে আসে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ, তার পাশাপাশি অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণ জরুরি। সরকারের দায়িত্ব হলো সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নিম্ন লিখিত প্রক্রিয়াগুলি পালন করলেই সাংবাদিকতা এবং মুক্ত মতের প্রকাশ সঠিকভাবে সমর্থিত হতে পারবে।

  • সাংবাদিকদের শ্রমিক সুরক্ষা
  • সাংবাদিকদের যাতায়াতের নিরাপত্তা
  • মানবিক সম্প্রসারণের নিরাপত্তা
  • প্রতিবেদনের উন্নত গুণমান
  • সাংবাদিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা

এছাড়া, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সঠিক আইনি ব্যবস্থা ও ক্ষমতাশীল ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া জরুরি। যা-ই লেখা হোক না কেন, দেশের এবং বিদেশের মানসম্মত পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাগুলো বার বার পড়া উচিত। ইতিহাস, রাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতিসহ সাম্প্রতিক আলোচিত বিষয়ে জানা-শোনা বাড়াতে হবে। ব্যাকরণ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি সাধারণ জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর বিকল্প নেই। নির্ভুল বানানে সৃজনশীল প্রতিবেদন লেখার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলে সাংবাদিকতায় ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
আমি খুব ছোটবেলা থেকে সাহিত্য এবং সাংবাদিকতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ২০০২ সালে যখন ক্লাস ফোরে পড়াশুনা করি তখন থেকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আমার লেখা ছড়া-কবিতাগুলো ছাপা হতো। ছড়া-কবিতা ও গল্প-উপন্যাস লিখতে তখন বেশ আনন্দ পেতাম। যে দিন পত্রিকায় সাহিত্য সংখ্যা বের হতো তার আগেই পত্রিকা অফিসে গিয়ে একাধিক লেখা জমা দিয়ে আসতাম। একাধিক লেখা এ কারণে দিতাম যেন আমার কমপক্ষে একটা লেখা প্রকাশ পায়। মাঝে মাঝে আবার একসাথে দুটি লেখাও প্রকাশ হতো। এরপর সবম শ্রেণিতে অধ্যায়নরতকালীন ২০০৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর অধ্যাপক কাজী মুহম্মদ অলিউল্লাহ ও মো. আব্দুর রব ওয়ার্ছী স্যারসহ সাহিত্য সুহৃদ ব্যক্তিদের সহযোগিতায় আমি ‘সাহিত্যপাতা’ নামে একটি সৃজনশীল সাহিত্য লিটিলম্যাগ সম্পাদনা শুরু করি। এরপর ২০০৯ সাল থেকে দৈনিক কাফেলার শহর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করি। এই সময়ে জেলার সর্বস্তরের সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গের সাথে সুসম্পর্ক ও রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক বিটের সকল সংবাদ সংগ্রহে কাজ করি। এছাড়াও পত্রিকাটির সংবাদ সম্পাদনা, সংবাদ পেস্টিং, পত্রিকা বিলি বণ্ঠন, বিজ্ঞাপন সংগ্রহসহ সামগ্রীক উন্নয়ন কর্মকান্ডে যুক্ত থাকার সুযোগ আমার হয়েছিল। হটাৎ দৈনিক কাফেলা পরিবার পত্রিকাটির প্রকাশনা কয়েক মাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন এবং প্রকাশনা বন্ধ রাখেন। এরপর বাধ্য হয়ে কিছুদিন দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার ডেক্সে কাজ করার পর ২০১৭ সাল থেকে দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার নিউজ রুমে সংবাদ সম্পাদনার কাজ করার সুযোগ পাই। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকায় সংবাদ সম্পাদনার কাজ করি। একই সাথে জাতীয়, আঞ্চলিক ও বেশকিছু অনলাইন পত্রিকায়ও কাজ করেছি। সর্বপরি মাঠ পর্যায়ে সংবাদ সংগ্রহ এবং সন্ধ্যার পর প্রতিটি পত্রিকা অফিসের ডেক্সে কাজ করার সুযোগ আমার হয়েছে। এরপর ২০২০ সালের ২ নভেম্বর থেকে দৈনিক সাতঘরিয়া পত্রিকার মফস্বল সম্পাদক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। পত্রিকাটি প্রকাশনার ৩ বছর আগে থেকেই আমি এই পত্রিকার অনলাইন পোর্টালে সংবাদ আপডেট (বার্তা সম্পাদক) হিসেবে কাজ করতাম। ছোটবেলা থেকে সাহিত্য ও সাংবাদিকতা আমার নেশা ছিল। ফলে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাকোত্তর শেষ করেও সাংবাদিকতা পেশায় কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কিছুটা সময় কাজ করি।
সাংবাদিকতা করতে হলে ‘সাংবাদিকতা বা গণযোগাযোগ’ বিষয়ে পড়তে হবে, এমন কোন আইন আমাদের দেশে নেই। তবে ভাষাগত জ্ঞান ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি প্রয়োজন। এছাড়া বাংলা, ইংরেজি সাহিত্য, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরাও এ পেশায় নিয়োজিত আছেন। তবে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে আগে থেকেই যারা নির্বাচন করে রাখেন, তাদের জন্য সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিষয়ে পড়াই ভালো। সাংবাদিকদের বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতে ভালো দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। কোন কিছুর ব্যাপারে অনুসন্ধান করে তথ্য সংগ্রহের মানসিকতা এবং বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে যোগাযোগের অভ্যাস থাকা প্রয়োজন। বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি এবং তথ্য-উপাত্তের উপর নির্ভর না করে লেখায় বা সংবাদে যৌক্তিক চিন্তার প্রকাশ ঘটাতে হবে। তথ্য-প্রযুক্তিতে সম্যাক জ্ঞান না থাকলে আপনি অন্য অনেকের চেয়ে পিছিয়ে থাকবেন। একজন সাংবাদিক হিসেবে কপিরাইট বিষয়ক আইনের ধারনা এবং চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য নির্ভর ধারণা থাকা আবশ্যক। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সৃজনশীলতা। প্রতিনিয়ত নিজেকে সৃষ্টিশীল করে তোলা চেষ্টা থাকতে হবে।
সংবাদপত্রের মানোন্নয়নে পাঠককে শুধু গুরুগম্ভীর সংবাদ উপহার দিলে হবে না। পাঠকের চাহিদা সব সময় ভিন্নতা। সংবাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের পাশাপাশি কিছুটা বিশ্লেষণ পাঠক পছন্দ করে। এসব কারণে ফিচার সংবাদ লেখার প্রতি তরুণ সাংবাদিকদের আগ্রহী হতে হবে। শুধু কপি পেস্ট সংবাদ নিয়ে নিজের নামে ছাপা হলে সংবাদপত্রের মানোন্নয়ন হবে না।
সমালোচনা মানে ‘সম্যকরূপে আলোচনা’-শুধু ছিদ্রান্বেষণ নয়। এটি মনে রাখতে হবে। সমাজে খারাপ সমালোচনা করার মানুষের অভাব নেই। নিজ যোগ্যতা বিবেচনা না করে অনেক সময় যোগ্য মানুষের প্রতি বিরূপ মন্তব্য করার অভ্যাস আমাদের গড়ে উঠেছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্যভুক্ত অনেক সাংবাদিক আছে, যাদের ৪ লাইনের একটা সংবাদ লেখারও যোগ্যতা নেই। আবার তারাই তেলবাজি করে সমাজে বড় মাপের সাংঘাতিক।
তথ্য উপাত্ত ছাড়াই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংবাদ লেখা এবং আর্থিক সুবিধা নিয়ে প্রতিবাদ ছাপার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির কোন প্রকার মতামত ছাড়াই ছাপা হচ্ছে খবর। পরের দিন কথিত কিছু সাংবাদিক অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে একটি প্রতিবাদ প্রকাশ করছে। এধরনের ঘটনা সাতক্ষীরা জেলায় ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। শুধু সাতক্ষীরা নয়! দেশব্যাপি হলুদ সাংবাদিকতার বিস্তার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য প্রকৃত সাংবাদিকদের মূল্যায়ন হ্রাস পাচ্ছে।

কমিশন বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্যের তদবির, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, সরকারি-বেসরকারি অফিসে চাঁদাবাজি, জমি দখল, সরকারি সেবা গ্রহণে দালালি এবং হলুদ সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন কৌশলে একটি চক্র টাকার পাহাড় গড়ে তুলছেন। প্রতিদিন জেলার এক প্রাপ্ত থেকে অন্য প্রান্তের মানুষদের জিম্মি করে সাংবাদিক নামধারী একটি চক্র নিরব চাঁবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। জেলাব্যাপি এ ধরনের চাঁদাবাজির ঘটনা এখন নিরবে চলছে। পেশা পরিবর্তন করে অনেকেই এখন সাংবাদিকতার লেবাস ধরে স্থানীয় ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতাদের জিম্মি করে বিভিন্ন ধরনের নিউজ করতে থাকেন। এই সমস্ত নিউজ এর মাধ্যমে ব্ল্যাকমেল করে অর্থ আদায় করছেন। অথচ, রাজতৈনিক ছত্রছায়ায় তারা ধরাছোয়ার বাইরে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এই চক্রটির বিরুদ্ধে তেমন কোন পদক্ষেপ নেননি।
সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তথ্য উপাত্ত ছাড়াই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংবাদ লেখা এবং আর্থিক সুবিধা নিয়ে প্রতিবাদ ছাপার ঘটনা ঘটছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির কোন প্রকার মতামত ছাড়াই ছাপা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সংবাদ। পরের দিন কথিত কিছু সাংবাদিক অভিযুক্ত ঐ ব্যক্তি বা তার পরিবারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে প্রতিবাদ প্রকাশ করছে। এধরনের ঘটনা সাতক্ষীরা জেলায় ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। শুধু সাতক্ষীরা নয়! দেশব্যাপি হলুদ সাংবাদিকতার বিস্তার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য প্রকৃত সাংবাদিকদের মূল্যায়ন হ্রাস পাচ্ছে। এব্যাপারে সাতক্ষীরার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ দাবী সচেতন নাগরিক সমাজের।
চ ল মা ন …..

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

খুলনার সময়

একটি সৃজনশীল সংবাদপত্র

আমাদের ফেসবুক পেজ

আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার ,বিকাল ৫:০৩
  • ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ২১ মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন