হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৬০০

ইসরায়েলে

বিশ্ব ডেস্ক: ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনের গাজায় হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে রোববারও তীব্র লড়াই চলেছে। চলমান সংঘাতে ইতিমধ্যে প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ইসরায়েলের ছয় শতাধিক এবং গাজার ৩৭০ জন মানুষ রয়েছে।

বিবিসি জানায়, গত শনিবার ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। সেইসঙ্গে তারা ইসরায়েলি ভূখণ্ডে কয়েক হাজার রকেট হামলা করে। আকস্মিক হামলার প্রাথমিক ধকল কাটিয়ে ইসরায়েলও প্রতিশোধ নিতে গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে। ইসরায়েলের হামলায় এরইমধ্যে ৩৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ২০০০ মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

চার শতাধিক ফিলিস্তিনি যোদ্ধা হত্যার দাবি
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে বিবিসি জানায়, গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাসের লড়াই অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকার পুনর্নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, তারা দক্ষিণাঞ্চলীয় ইসরায়েল ও গাজা সীমান্তে চার শতাধিক ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা এখনো যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।

জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা জানিয়েছে, সংঘাত শুরুর পর প্রায় ২০ হাজার ফিলিস্তিনি গাজা সীমান্ত এলাকা ছেড়ে আরও ভেতরের অঞ্চলের দিকে পালিয়েছে। গাজার নাগরিকদের অনেকে এরই মধ্যে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে গিয়ে আশ্রয় নেয়া শুরু করেছে।

এদিকে গত শনিবার হামাসের বিরুদ্ধে হামলা শুরুর আগে গাজা উপত্যকার সাতটি ভিন্ন ভিন্ন এলাকার নাগরিকদের নিজেদের ঘর থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। তারা জানিয়েছে যে, সেসব এলাকায় হামাসের ঘাঁটি রয়েছে, সেখানে নতুন হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে তারা। গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পণ্য সরবরাহ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির বসবাস। ২০০৭ সাল থেকে উপত্যকাটিতে স্থল ও জলপথে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েলি সরকার। ফলে আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর অনেকটা নির্ভর করে চলতে হয় এখানকার বাসিন্দাদের।

ইসরায়েলে লেবাননের হিজবুল্লাহর হামলা
ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান সংঘাতের মধ্যেই ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে আক্রমণ চালিয়েছে গোষ্ঠীটি।

আল জাজিরা জানায়, হিজবুল্লাহর হামলার ঘটনা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলতে পারে। লেবানন থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা বলেছেন, ‘লেবাননের সব সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। লেবাননে হামাসের মিত্র রয়েছে। তারা সবাই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।’

হিজবুল্লাহর দাবি, তারা বিরোধপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় ইসরায়েলি অবস্থানে গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ইসরায়েল অধিকৃত লেবাননের শেবা খামারের তিনটি অবস্থানে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ‘মাউন্ট ডোব’-এ হিজবুল্লাহর অবকাঠামো লক্ষ্য করে পাল্টা ড্রোন হামলা চালিয়েছে। পাল্টা হামলার একাধিক ছবিও প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

খুলনার সময়

একটি সৃজনশীল সংবাদপত্র

আমাদের ফেসবুক পেজ

আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার ,বিকাল ৫:১১
  • ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ২১ মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন