দুর্নীতির ঘুণে ক্ষয়, নেতৃত্বে আশার আলো

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সিটি কলেজ দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের প্রশাসনিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান মনিরের নেতৃত্বে কলেজে যে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে, তা শিক্ষার পরিবেশে এক নতুন আশার সঞ্চার করেছে। একাডেমিক কার্যক্রমে গতি ফিরেছে, শিক্ষক-কর্মচারীরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ ও উপস্থিতি বেড়েছে।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এই শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত গোষ্ঠী আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সাবেক অধ্যক্ষ ড. এম শিহাব উদ্দীনের বিরুদ্ধে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তে উঠে আসা গুরুতর অভিযোগ — যেমন স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি — প্রমাণ করে যে তিনি কীভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। এসব অনিয়মের পরও আইনি জটিলতা তৈরি করে তিনি প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছেন, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত।
আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, কলেজের এক অফিস সহকারী মতিয়ার রহমানের মাধ্যমে তথ্যপত্র পাচার, অফিসে অনিয়মিত কর্মকাণ্ড এবং কলেজ প্রশাসনের প্রতি অসদাচরণ—এগুলো শুধু প্রশাসনিক শৃঙ্খলাকেই ভঙ্গ করছে না, বরং পুরো প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এমনকি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনিরকে হেয় করার অপচেষ্টা প্রমাণ করে, এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তবে অধ্যক্ষ যেভাবে আলোচনার মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে আবার সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ফিরেছেন তা সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। এটি দেখিয়ে দেয়, সম্মান, সংলাপ ও আন্তরিকতার মাধ্যমে যে কোনো সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব। আমরা মনে করি, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের স্বচ্ছ, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসনিক পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। অপরদিকে শিহাব উদ্দীনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, দোষীদের আইনের আওতায় আনা এবং অনিয়ম রোধে কঠোর নজরদারি এখন সময়ের দাবি।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

খুলনার সময়

একটি সৃজনশীল সংবাদপত্র

আমাদের ফেসবুক পেজ

আজকের দিন-তারিখ

  • মঙ্গলবার ,রাত ১:১৩
  • ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ২৯ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  • ২২ রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন