
আব্দুর রহমান: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে সাতক্ষীরা জেলার ১৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের জরুরি মেরামত ও সংস্কারের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯১১ টাকা। এরমধ্যে, আশাশুনি উপজেলার ১১টি বিদ্যালয়ে ২ লক্ষ ৬১ হাজার ৬শ ৬৫ টাকা, কলারোয়া উপজেলার ১২টি বিদ্যালয়ে ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৯শ ৯৯ টাকা, কালিগঞ্জ উপজেলার ৪১টি বিদ্যালয়ে ১৬ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯শ ১৬ টাকা, তালা উপজেলার ১৪টি বিদ্যালয়ে ৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ৩শ ৩৩ টাকা, দেবহাটা উপজেলার ১৪টি বিদ্যালয়ে ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩শ ৩৫ টাকা, শ্যামনগর উপজেলার ৩৬টি বিদ্যালয়ে ১১ লক্ষ ৮ হাজার ৩শ ৩৩টাকা এবং সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৫৭টি বিদ্যালয়ে ২২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩শ ৩০ টাকা। চলতি সপ্তাহে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক স্মারকে এই বরাদ্দের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে উপজেলা পর্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের এই অর্থ উত্তোলন ও ব্যয়ের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। স্মারকে বলা হয়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের পরিচালন বাজেটের ‘অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা’ খাতের আওতায় সারাদেশে ১২ হাজার ৫৩১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কারের জন্য মোট ৪১ কোটি ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ অর্থ এসেছে একই খাতের মোট ৮০ কোটি টাকার বরাদ্দ থেকে। স্মারকে অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি কঠোর শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- সরকারের সব আর্থিক বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। ভ্যাট পরিশোধের প্রমাণপত্র সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক। অডিটের জন্য সব বিল-ভাউচার সংরক্ষণ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মানসম্মতভাবে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। কাজ সম্পন্নে ব্যর্থ হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের দায়ী করা হবে। অব্যয়িত অর্থ ৩০ জুন ২০২৬-এর মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। সংস্কারকাজ তদারকি করবেন বিভাগীয় উপপরিচালক (প্রাথমিক শিক্ষা), জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি)। মন্ত্রণালয় জানায়, নির্বাচনের আগেই ভোটকেন্দ্রগুলোর সংস্কার কাজ মানসম্মতভাবে শেষ করার জন্য মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমীন বলেন, “জেলার ১৮৫টি বিদ্যালয়কে ভোটকেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করতে আমরা উপজেলাগুলোকে দ্রুত মেরামতকাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি। বরাদ্দের প্রতিটি টাকা সরকারি নীতিমালা মেনে ব্যয় হচ্ছে কি না, তা আমরা কঠোরভাবে তদারকি করব। লক্ষ্য হলোÑ নির্বাচনের আগেই কেন্দ্রগুলো মানসম্মতভাবে প্রস্তুত করা এবং কোনো ধরনের দেরি বা অনিয়মের সুযোগ না রাখা।”